অটোজোম ও অ্যালোজোম কাকে বলে বিস্তারিত~প্রো-বিডি নিউজ২৪.কম

অটোজোম ও অ্যালোজোম কাকে বলেঃ
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছো। তোমরা অনেকেই অটোজোম ও অ্যালোজোম সম্পর্কে গুগলে সার্চ করছো তাহলে চলো এই বিষয়টা ক্লিয়ার করা যাক। অটোজোম হচ্ছে এক ধরনের ক্রোমোজোম আর এটি লিঙ্গ নির্ধারণের সাথে জড়িত নয় এবং নারী-পুরুষের মধ্যে সমান থাকে। 
অটোজোম ও অ্যালোজোম কাকে বলে


অপরদিকে অ্যালোজোম হচ্ছে সেক্স ক্রোমোজোম যেটি নারী -পুরুষের মধ্যে ভিন্ন। আজকে আমরা অটোজোম ও অ্যালোজোম কাকে বলে, অটোজোম বাহিত দুটি রোগের নাম ও পার্থক্য নিয়ে কথা বলবো।

অটোজোম কাকে বলে

উত্তরঃ যে সকল ক্রোমোজম জীবের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকে অটোজোম বলে। মানব কোষে মোট ২৩ জোড়া (৪৬টি) ক্রোমোজম রয়েছে। যার মধ্যে ২২ জোড়া (৪৪টি) কে অটোজোম বলে।


অ্যালোজোম কাকে বলে

উত্তরঃ যে সকল ক্রোমোজোম পুরুষ ও স্ত্রীদেহের দেহকোষে ভিন্ন সংখ‍্যায় উপস্থিত থাকে এবং জীবের লিঙ্গ নির্ধারণে মূখ্য ভূমিকা পালন করে তাদের বলা হয় অ্যালোজোম বা সেক্স ক্রোমোজোম।

আশা করি, এখন অটোজোম ও অ্যালোজোম কাকে বলে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এখন চলুন অটোজোম বাহিত দুটি রোগের নাম জেনে নেয়া যাক-

অটোজোম বাহিত দুটি রোগের নাম


১। অ্যালবিনিজম
২। অ্যালক্যাপ্টোনিউরিয়া
৩। বর্ণান্ধতা

অটোজোম কে সংক্ষেপে কি দ্বারা প্রকাশ করা হয় 

উত্তরঃ অটোজোম কে সংক্ষেপে ইংরেজি অক্ষর A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

অটোজোম ও অ্যালোজোম পার্থক্য

নিচে অটোজোম ও অ্যালোজোম পার্থক্য সুন্দর ভাবে টেবিল আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো-
অটোজোম অ্যালোজোম
পুরুষ ও স্ত্রী দেহকোষে অটোজোম সংখ্যা সমান। অ্যালোজোম পুরুষ ও স্ত্রী দেহকোষে অ্যালোজোম সংখ্যা ভিন্ন।
অটোজোম প্রধানত দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করে থাকে। অ্যালোজোম প্রধানত লিঙ্গ নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে।
অটোজোম সংখ্যায় অনেক হয় যেমনঃ মানুষের অটোজোম সংখ্যা ৪৪ টি। অ্যালোজোম সংখ্যায় সাধারণত এক জোড়া হয়।
একই প্রজাতির লিঙ্গ ভেদে অটোজোমের সংখ্যার কোন তারতম্য ঘটে না। একই প্রজাতির লিঙ্গভেদে সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যার তারতম ঘটে।

শেষ কথাঃ

আমরা অটোজোম ও অ্যালোজোম সম্পর্কে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। এই বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url