খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা সমসাময়িক একটি প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলবো। আপনারা যারা গুগলে সার্চ করছেন খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে সব জানতে পারবেন।
'খাদ্যে তেজালের কারণ ও প্রতিকার' শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
অথবা, একটি জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে 'খাদ্যে ভেজাল ও তার প্রতিকার' সম্বন্ধে একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি কর।
অথবা, মনে কর, তুমি কাশেম 'দৈনিক কালের কন্ঠ' পত্রিকার একজন প্রতিনিধি। 'খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার' শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥-দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ ॥ বাংলাদেশের মানুষের জীবন আজ নানা জটিল সমস্যায় জর্জরিত। তার মধ্যে খাদ্যে ভেজাল অন্যতম। যে খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ জীবনধারণ করে তাতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মিশিয়ে মানুষের জীবনকে ঠেলে দিচ্ছে চরম সর্বনাশের দিকে।
মানুষ কেন খাদ্যে ভেজাল দেয় তার কারণ পর্যালোচনা করলে মানুষের অর্থলোলুপ মানসিকতার পরিচয় মেলে। অর্থ ছাড়া জীবনও চলে না, তাই অর্থ উপার্জনের জন্যে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। এর জন্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ বা অসৎ পথ বেছে নেয়। অর্থের লালসায় তারা ন্যায়-অন্যায় ভুলে যায়। সৎপথে উপার্জন কম বলে তারা অসততার আশ্রয় নিয়ে রাতারাতি অর্থের পাহাড় গড়ে তুলতে চায়। এজন্যে তারা মানুষের জীবনের কথা না ভেবে তারা খাদ্যে ভেজাল মেশায়। এ কাজটি তারা নানা পদ্ধতিতে করে। চালে মেশায় কাঁকর। হলুদ ও মরিচের গুঁড়ায় মেশায় ইটের গুঁড়া। মাছ ও যাবতীয় ফল তাজা রাখার জন্যে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত ফরমালিন, যা দেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ বিকল করে দেয়।
চিনিতে মেশায় লবণ। শিশুখাদ্যেও মারাত্মক ভেজাল মেশানো হয়। বর্তমানে এমন কোনো খাদ্য নেই যাতে ভেজাল মেশানো হয় না। বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি হয় নানা প্রকার। কোমল পানীয়। এভাবে মানুষের জীবনকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুর দিকে। অসাধু শ্রেণির মানুষের অর্থলোভই এর প্রধান কারণ। অর্থের জন্যে কিছু মানুষ আজ নৈতিকতার কথা ভুলে খাদ্যে ভেজাল মেশাতে তৎপর।
আমাদের দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর তৎপরতা এত বেশি যে, এর প্রতিকারে তৎপর না হলে জাতি একটি পঙ্গু জাতিতে পরিণত হবে। জীবনরক্ষাকারী ওষুধও ভেজালের কারণে জীবনের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগমুক্তির জন্যে মানুষ যে ওষুধি খায়, সে ওষুধ আজ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। তাই ভেজালের মারাত্মক কুফল থেকে জাতিকে রক্ষার জন্যে ইতোমধ্যেই ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। সরকার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভেজালকারীদের জেল-জরিমানা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা দিতে হয়েছে।
ভেজালের পরিধি ও পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তাতে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। কারণ জরিমানার পরিমাণ যদি লাভের চেয়ে অনেক কম হয় তবে জরিমানা ও লঘু শাস্তি ভোগের পর অসাধু লোকেরা ভেজাল ব্যবসা চালিয়েই যাবে। তাই সরকারি প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে, প্রয়োজনে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে অসাধু লোকেরা ভেজালের কথা চিন্তাও করবে না। তাহলেই ভেজালের প্রতিকার সম্ভব হবে এবং মৃত্যুর কবল থেকে বেঁচে যাবে মানুষের জীবন।
[এখানে খাম আঁকতে হবে।
খাদ্য ভেজাল সংবাদ প্রতিবেদন শেষ কথাঃ
আশা করছি আজকের খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এরকম আরও প্রতিবেদন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আর কোন প্রতিবেদন আপনারা পড়তে চান তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।